এই পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্গত সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান পাঠ্য পুস্তকের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য অধ্যায়টির প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হল। যা পরীক্ষার জন্য খুবই কার্যকরী। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য অধ্যায়টির বিষয় ভিত্তিক আলোচনাও করা হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ে প্রথমে অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্ন উত্তর এই ক্রমে রয়েছে।
পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য অধ্যায়টির বিষয়গুলি হল-
- পরিবেশের সংকট ও দৈহিক স্বাস্থ্য
- মানুষের বিভিন্ন পেশা সমস্যা ও রোগ
- স্বাস্থ্যের প্রকৃতি (দৈহিক, মানসিক)
- সংক্রামক রোগ ও তার প্রতিকার
- রোগ সংক্রমনে বাহকের ভূমিকা ও প্রতিকার
- খাদ্যবাহিত রোগ ও প্রতিকার
পরিবেশের সংকট ও দৈহিক স্বাস্থ্য
1. জ্বর মাপার জন্য আমরা কোন যন্ত্র ব্যবহার করি?
থার্মোমিটার
2. ইলেকট্রিক বাল্ব বা টিউবলাইটের বদলে এখন কোন ধরণের আলো ব্যবহার করা হচ্ছে?
LED এবং CFL
3. CFL এর পুরো নাম কি?
Compact Fluorescent Lamp
4. থার্মোমিটারে তরল রূপে কিসের ব্যবহার করা হয়?
পারদ ধাতুর।
5. Fluorescent Lamp তৈরি করতে ধাতুর বাষ্প ব্যবহার করা হয়। সেটি কোন ধাতু?
পারদ।
6. কয়েকটি ধাতুর নাম বলো।
পারদ, নিকেল, তামা, লোহা, দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি।
7. মিনামাটা রোগ কোন ধাতুর সংক্রমনে হয়েছিল?
পারদ ধাতুর।
8. জলে কত পরিমান আর্সেনিক থাকলে সেটি খাওয়ার উপযোগী নয়?
1 লিটার জলে 0.05 মিলিগ্রাম বা তার বেশি মাত্রায় আর্সেনিক থাকলে সেটি খাওয়ার উপযোগী নয়।
9. জলে কত পরিমান ফ্লুওরাইড থাকলে সেটি খাওয়ার উপযোগী নয়?
1 লিটার জলে 1.5 মিলিগ্রাম বা তার বেশি মাত্রায় ফ্লুওরাইড থাকলে সেটি খাওয়ার উপযোগী নয়।
10. ফ্লুরাইডের প্রভাবে মানব শরীরে কি কি সমস্যা দেখা যায়?
ফ্লুওরিন মিশ্রিত জল দীর্ঘদিন পান করলে দাঁতে ছোপ ছোপ দাগ, পিঠের মেরুদন্ড ধনুকের মতো বেঁকে যাওয়া, দাঁত ও হাড় সহজেই ভেঙে যাওয়া, হাঁটার সময় দুটি হাঁটুর মধ্যে ঠোকা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
11. আর্সেনিকের প্রভাবে মানব শরীরে কি কি সমস্যা দেখা যায়?
আর্সেনিক মিশ্রিত জল দীর্ঘদিন পান করলে পায়ের নানা জায়গায় ক্ষত, হাতের ওপরের তালুতে খসখসে উঁচু উঁচু ছোপ, চামড়ার রং কালো, বুকে ও পিঠে কালো ছোপ ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
12. পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন অঞ্চলে আর্সেনিকের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়?
পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর 24 পরগনা ও দক্ষিণ 24 পরগনা অঞ্চলে আর্সেনিকের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
13. পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন অঞ্চলে ফ্লুরাইডের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়?
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, বাঁকুড়া ও মালদহ জেলায় ফ্লুরাইডের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
14. আর্সেনিক ও ফ্লুরাইড কিভাবে মানব শরীরে প্রবেশ করে?
কিছু অঞ্চলে মাটির নিচে আর্সেনিক ও ফ্লুওরিনের খনিজ ভূগর্ভস্থ জলের সাথে মিশে যায়। যখন ভূগর্ভস্থ জল সরাসরি পানীয় জল হিসেবে মানুষ পান করে। তখন আর্সেনিক ও ফ্লুরাইড মানব শরীরে প্রবেশ করে।
15. ব্ল্যাকফুট ডিজিজ কি?
আর্সেনিকের প্রভাবে হাতের ও পায়ের তলায় কালো ছোপ হয়ে যাওয়াকে ব্ল্যাকফুট ডিজিজ বা ব্ল্যাকফুট ব্যাধি বলে।
16. পারদের প্রভাবে মানব শরীরে কি কি রোগের লক্ষন দেখা যায়?
পারদের প্রভাবে মানব শরীরে পেশির খিঁচুনি, দেহ ধনুকের মতো বেঁকে যাওয়া, জিভ ও মুখের পেশি অসাড় হয়ে যাওয়া, বিকলাঙ্গ ও অন্ধ শিশুর জন্ম প্রভৃতি লক্ষণ দেখা যায়।
17. ধাতুর জন্য কিভাবে মানব শরীরে বিভিন্ন সংক্রমণ হয়?
বিভিন্ন প্রকার ধাতুর নানান জৈব ও অজৈব যৌগ মানুষের দেহে খাদ্য বা পানীয়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ থেকে প্রবেশ করছে। এই ভাবেই মানব শরীরে নানান সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।
18. টিকা লেখ - মিনামাটা রোগ
জাপানের মিনামাটা শহরের একটি কারখানা থেকে পারদ মেশানো বর্জ্য সমুদ্রের জলে মিশতে থাকে। যা বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার দেহে প্রবেশ করে সঞ্চিত হতে থাকে। মিনামাটা শহরের অধিবাসীরা সেই মাছ ও কাঁকড়া খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে এবং তাদের শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে থাকে যেমন পেশীর খিঁচুনি, দেহ ধনুকের মতো বেঁকে যাওয়া, জিভ ও মুখের পেশী অসাড় হয়ে যাওয়া, বিকলাঙ্গ ও অন্ধ শিশুর জন্ম ইত্যাদি। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় যে- ওইসব প্রাণীদেহ থেকে পারদ মানুষের দেহে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি হয়েছে। পারদের বিক্রিয়া জনিত রোগের নাম মিনামাটা।
মানুষের বিভিন্ন পেশা সমস্যা ও রোগ
1. প্রাচীন মিশরীয়রা পোড়া মাটির বাসনপত্র অলংকৃত করতে কোন ধাতুর যৌগ ব্যবহার করত?
তামার যৌগ।
2. খনির বদ্ধ বাতাসের মধ্যে কোন গ্যাস থাকলে শ্রমিকদের মৃত্যুর সম্ভবনা থাকে?
কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস।
3. প্রসাধনী সামগ্রী, সুতি বস্ত্র ইত্যাদি রং করতে কোন রাসায়নিক যৌগ ব্যবহার করা হয়?
সংশ্লেষিত জৈব রঞ্জক।
4. দুটি সংশ্লেষিত যৌগ উপাদানের নাম লেখ।
হাইড্রোকার্বন, জৈব রঞ্জক।
5. দেওয়ালে রং, খেলনা, গাড়ির ব্যাটারি তৈরিতে কোন ধাতু বা ধাতুর যৌগ ব্যবহার করা হয়?
সিসা
6. দুটি কয়েকটি তেজস্ক্রিয় পদার্থের নাম লেখ।
ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম
7. কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা, হিসেব নিকেশ করা, চেয়ার টেবিলে বসে লেখা এই ধরনের পেশার জন্য কোন কোন রোগের সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়?
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ঘাড়ে ব্যথা, অনিদ্রা, ওজন বৃদ্ধি, দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া প্রভৃতি।
8. তেজস্ক্রিয় পদার্থ কি?
ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম প্রভৃতি পদার্থ ও তাদের যৌগ থেকে অবিরাম ভাবে কিছু অদৃশ্য রশ্মি বের হয়। এই সব রশ্মি ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এদের বলা হয় তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
9. এক্স রশ্মি কিভাবে মানব দেহে প্রভাব ফেলে? অথবা এক্স রশ্মির কুফল গুলি লেখ।
রোগীর শরীরের ভেতর আঘাতপ্রাপ্ত বা রোগাক্রান্ত বিভিন্ন অঙ্গের ছবি তুলতে এক্স রশ্মি ব্যবহার করা হয়। এই রশ্মি বারবার সরাসরি কোশের সংস্পর্শে এলে কোশের ক্রিয়া অস্বাভাবিক করে দিতে পারে। এমনকি কোশ ধ্বংস করে দিতে পারে। ফলে মানবদেহের নানা অঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। সেগুলি হল –
- খাদ্যনালী: বমির ভাব, খিদের ভাব না হওয়া
- ফুসফুস: শ্বাসকষ্ট, রক্তক্ষরণ, ক্যান্সার
- অস্থিমজ্জা: রক্তকোশ ঠিকমতো তৈরি না হওয়া, ক্যান্সার
10. মানুষের পেশাজনিত বিভিন্ন সমস্যা গুলি লেখ।
নানান মানুষ নানান ধরনের পেশার সাথে যুক্ত, এবং সেই পেশার ফলে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা যায় সেগুলি হল -
- মোটর গাড়ি চালালে ড্রাইভারদের হাত ও ঘাড়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যারা একনাগাড়ে কম্পিউটারে বসে কাজ করে তাদের এবং যারা ল্যাবরেটরিতে বসে কাজ করে তাদেরও হাত ও ঘাড়ের সমস্যা দেখা দেয়।
- ফুটবল প্লেয়ারদের প্রায়সই হাড় ভেঙে যায়। লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়।
- কয়লার খনিতে যারা কাজ করে তাদের ফুসফুসে কয়লার গুড়ো ঢুকে "ব্ল্যাক লাং" নামক ফুসফুসের রোগ হয়।
- যারা পাটকলে কাজ করেন তারা মাথা ঘোরা, বধিরতার শিকার হয়।
- যারা কারখানায় কাজ করে তাদের পায়ের অস্থিতে সুক্ষ চিড় ধরে এবং ক্যান্সার হতে দেখা যায়।
11. নিম্নের উল্লেখিত ভৌত কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ ও উপসর্গ গুলি লেখ।
ভৌত কারণ |
সৃষ্ট রোগ/ উপসর্গ সমূহ |
বিদ্যুৎ |
শক লাগা, পুড়ে যাওয়া, ঝলসে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। |
তাপ |
পুড়ে যাওয়া, ফোস্কা পড়া, মাংস খুলে পড়া বা উঠে যাওয়া। |
শৈত্য |
তুষারক্ষত, হাত পা অবশ হয়ে
যাওয়া, দেহে কালশিটে পড়া। |
শব্দ |
বধিরতা, মানসিক বৈকল্য, শ্রবণশক্তি হ্রাস, হৃদযন্ত্রের ব্যাধি |
তেজস্ক্রিয় পদার্থ |
রক্তাল্পতা, ক্যান্সার, বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম। |
স্বাস্থ্যের প্রকৃতি (দৈহিক, মানসিক)
1. WHO এর সম্পূর্ণ নাম কি?
World Health Organization
2. UNICEF এর সম্পূর্ণ নাম কি?
United Nations International Children’s Emergency Fund
3. জীবনকুশলতা শিক্ষা কি?
জীবনের বিভিন্ন সময় নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় এবং তার মোকাবিলা করতে হয়। এছাড়াও নানা সময় আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করতে হয়, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এসবের মধ্যে দিয়েই সংবেদনশীল ও সমাজমনষ্ক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার শিক্ষা হল জীবনকুশলতার শিক্ষা।
4. WHO এর সম্পর্কে লেখ।
WHO এর সম্পূর্ণ নাম World Health Organization অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটি রাষ্ট্র সংঘের অধীন। WHO মানব সমাজের স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করে। 1949 সালের 9 ই এপ্রিল WHO স্থাপিত হয়। এর প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ড এর জেনিভায় অবস্থিত।
5. UNICEF এর সম্পর্কে লেখ।
UNICEF কথার পুরো নাম United Nations International Children’s Emergency Fund. উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিশু ও মায়েদের স্বাস্থ্য দিয়ে মানবিকতার সঙ্গে কাজ করছে। 1946 সালের 11ই ডিসেম্বর রাষ্ট্র সংঘের অধিবেশনে এই সংস্থাটি গঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের জরুরিকালীন খাদ্য এবং স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্যই এই সংস্থা গঠিত হয়।
6. রোগ প্রতিরোধের ধাপ গুলি লেখ।
রোগ প্রতিরোধের ধাপ গুলি হল -
- টিকাকরণ কর্মসূচী, খাদ্যে বাইরে থেকে পুষ্টি উপাদান (আয়োডিন, আয়রন, ভিটামিন) যোগ করা।
- রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা।
- ভিন্ন দক্ষতা সম্পন্ন মানুষের পুনর্বাসন।
- জীবনকুশলতা শিক্ষা।
7. মনোবিদ কাদের বলে?
আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দেখভাল করেন যিনি তাকে বলে মনোবিদ। মনোবিদরা রোগীর সঙ্গে আলোচনা করে তাকে স্বাভাবিক হওয়ার ও স্বাভাবিক থাকার উপায় বলে দেন।
8. মনোচিকিৎসক কাদের বলে?
মনোচিকিৎসকদের কাজ প্রায় মনোবিদদের মতই। তবে অনেক সময় যেখানে ওষুধের দ্বারা মানসিক রোগ নিরাময় করা সম্ভব এবং যেখানে শারীরিক ও মানসিক অসুখ পরস্পরের সম্পর্কযুক্ত সেখানে মনোচিকিৎসক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
9. কয়েকটি মানসিক সমস্যা জনিত রোগের নাম লেখ।
কয়েকটি মানসিক সমস্যা জনিত রোগের নাম হল -
মানসিক প্রতিবন্ধকতা, অটিজম, ডিসলেক্সিয়া, মনোযোগহীনতা, মানসিক উদ্বেগ, মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেসন, পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া প্রভৃতি।
10. মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য কি কি করা উচিত?
মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য যা যা করা উচিত সেগুলি হল -
- ব্যবহারিক পরিবর্তন (কু-অভ্যাস শনাক্তকরণ ও দূরীকরণ)
- মনোবল বৃদ্ধি (কোনো কু-অভ্যাস ছাড়ার জন্য মনের জোরকে বাড়িয়ে তোলা)
- মনের কথা খুলে বলা।
- বিতর্কিত ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনা করা।
- ধ্যান ও একাগ্রতা বৃদ্ধি।
- পাঠক্রম-বহির্ভূত ব্যাপারে চর্চা (যেমন ছবি আঁকা, গান করা, গান শোনা, খেলাধুলা, ব্যায়াম করা ইত্যাদি)
11. UNICEF ও WHO এর পরিকল্পিত কয়েকটি জীবনকুশলতা আলোচনা কর।
ভাবার কুশলতা
- আত্মসচেতনতা
- বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা
- সিদ্ধান্ত নেওয়া
- সমস্যা দূর করা
- সৃজনশীল চিন্তা
সামাজিক কুশলতা
- পারস্পরিক সংযোগ স্থাপন
- পারস্পরিক সম্পর্ক
- সমানুভূতি
বাধা বিপত্তি এড়ানোর কুশলতা
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
- আবেগ নিয়ন্ত্রণ
12. মানসিক সমস্যার কারণ গুলি লেখ।
- গর্ভাবস্থায় অপুষ্টির জন্য অনেক শিশুই জন্মের সঙ্গে সঙ্গে কোন ব্যাধির শিকার হয়। এই সময় শিশুদের ঠিকমতো মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটে না।
- পরিবেশের বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় তা আমরা এড়াতে পারি না। ফলে মনের ও দেহের রোগ সৃষ্টি হয়।
- বাড়ির পরিবারের মধ্যে নানান অন্তর কলহ মনের উপর বিশেষ চাপ সৃষ্টি করে। তা থেকে মানসিক রোগ জন্মায়।
- মানসিক দ্বন্দ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়। অনেক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
- বিভিন্ন নেশার প্রকোপ মানসিক পীড়ার কারণ হয়।
You May Also Like
Loading...